সরকারী চাকুরীজীবি হিসেবে এখনোও নিজেকে কোয়ারেন্টিন করে রাখার সুযোগ পাইনি। আমার বন্ধু-তালিকায় সাংবাদিক, ডাক্তার সহ এমন অসংখ্য পেশার মানুষ আছেন যাদেরকে জীবিকার কারণেই প্রতিদিন বাইরে যেতে হচ্ছে। তাই বলে তো আর করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ বন্ধ থাকতে পারে না। সে কথাগুলোই আজ বলবোঃ-
১। বাইরের জুতা পড়ে বাসায় প্রবেশ বন্ধ করলাম।
২। বাইরে থেকে এসেই সরাসরি আগে শাওয়ার। যতবারই যাই না কেন। এটা একটা কঠিন সিদ্ধান্ত। এজন্যই কঠিন, কেননা বাইরে থেকে আসার সাথে সাথেই আমার পুত্র এসে আমায় জড়িয়ে ধরে। বুকে অনেক কষ্ট নিয়ে আজ থেকে ওকে মানা করলাম। বুঝিয়ে বললাম।
৩। পত্রিকা নেয়া বন্ধ করলাম। অনলাইনে পড়ে নিবো।
৪। যতটা সম্ভব ভীড় এড়িয়ে চলা। আমার মা একা থাকেন। তাকে দেখতে ইচ্ছে করলেও, সেই ইচ্ছা সংবরণ করছি। মেসেঞ্জারে ভিডিও কলে মনের সেই আশা পূরণ করছি। দাওয়াত গ্রহণ করছি না।
৫। কর্মক্ষেত্রে করমর্দন/কোলাকুলি সচেতন ভাবে এড়িয়ে চলছি। এখানে গ্যাদারিং হলেও সচেতন ভাবে একটু দুরে বসার চেষ্টা করছি।
৬। আমার মতে,দরজার হাতল আরেকটা জায়গা যেটা এই ভাইরাস সংক্রমণে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখবে। তাই দরজা খুলছি পা/হাটু দিয়ে ধাক্কা দিয়ে। সুযোগ থাকলে ডিসপোযেবল / অন্য যেকোনো গ্লাভস ব্যবহার করাই ভাল। টাকা পয়সা ধরার ক্ষেত্রেও একই সতর্কতা অবলম্বন বাঞ্চনীয়। গাড়ীর স্টিয়ারিং, গাড়ীর দরজা, ল্যাপটপের কিবোর্ড সব ক্ষেত্রেই একইভাবে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
৭। নিজের বাচ্চাদেরকে সচেতন করুন। ওর বিকেলে খেলতে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। মুরুব্বিদের সাথে ফোনে কথা বলুন। তাদেরকেও সচেতন করুন।
৮। পাশ্চাত্যের মতো আমাদের দেশে কমপ্লিট কোয়ারেন্টিনে যাওয়া মুস্কিল। ড্রাইভার/দারোয়ান / কাজের বুয়া তাদের এড়িয়ে চলা মুস্কিল। সেক্ষেত্রে তাদের সচেতন করুন। তারা বাসায় প্রবেশ করার সাথে সাথেই তাদেরকে হাত পরিষ্কারের সুযোগে করে দিন।
৯। দৌড়াতে গেলে একাই দৌড়াচ্ছি। জীমে না যাওয়াই ভাল। গেলেও গ্লাভস ব্যবহার করছি।
১০। যার যার সৃষ্টিকর্তার কাছে এই দুর্যোগ থেকে পরিত্রানের জন্য কায়োমনো ভাবে প্রার্থনা করুন। বিপদ যদি তিনি দিয়ে থাকেন তবে পরিত্রানের রাস্তাও তিনিই দেখাবেন। তবে সে জন্য আমরা যদি আমাদের নিজেদের সাহায্য না করি তাহলে মুস্কিল।
পরিশেষে এটাই বলবো, কারোও সাহায্যের আশায় বসে না থেকে নিজেই নিজেকে সাহায্য করুন। আপনার সচেতনতাই পারে প্রতিরোধের দেয়ালকে সুদৃঢ় করে তুলতে।
ফেসবুক থেকে সংগৃহীত